বৃহস্পতিবার সাফল্য উদযাপনের অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাগ বহন করা যাবে না

বৃহস্পতিবার সাফল্য উদযাপনের অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাগ বহন করা যাবে না





স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন উপলক্ষে আগামী ২২ মার্চ রাজধানীসহ সারা দেশে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।


এর অংশ হিসেবে এদিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাস্থলসহ সারা দেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেউ ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে মঙ্গলবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ২২ মার্চের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২২ মার্চ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেবে সরকার। সেখানে সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।

তিনি বলেন, ওই দিন বিকাল ৪টায় রাজধানীর চারটি জোন থেকে ৯টি নির্দিষ্ট পয়েন্টে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অভিমুখে বর্ণাঢ্য র‌্যালি নিয়ে প্রবেশ করবেন। এ বিষয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কোন রাস্তা দিয়ে র‌্যালি নিয়ে রওনা হবে এর একটি বিস্তারিত নকশা থাকবে।

মন্ত্রী জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেখানে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ট্রাফিক কন্ট্রোলসহ সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

সাফল্য উদযাপন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা ওই দিন দেশব্যাপী এ অনুষ্ঠানে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দাওয়াত না পেয়ে স্টেশন সুপারকে পেটালেন শ্রমিক লীগ নেতারা ২০ মার্চ ২০১৮, ২১:০২

দাওয়াত না পেয়ে স্টেশন সুপারকে পেটালেন শ্রমিক লীগ নেতারা ২০ মার্চ ২০১৮, ২১:০২


পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের বিশেষ সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে শ্রমিক লীগকে দাওয়াত না দিয়ে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়ার অভিযোগে স্টেশন সুপার (এসএস) আবদুল করিমকে পিটিয়েছেন শ্রমিক লীগ নেতারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে রেলের বিশেষ সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠান চলাকালে পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ সবার সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আয়োজনে রেলের বিশেষ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছিল। র‍্যালির শুরুতেই ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতারা এসে র‌্যালিতে দাঁড়ানো স্টেশন সুপার আবদুল করিমকে পাজাকোলে তুলে নিয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টারের কক্ষে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন তাঁরা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত ডিআরএম ও পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আসাদুল হকসহ বিভাগীয় রেলের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁকে উদ্ধার করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে আবারও র‌্যালি শুরু করা হয়। র‌্যালি শেষে স্টেশন সুপারের সঙ্গে শ্রমিক লীগের নেতাদের সমঝোতা করিয়ে দেন রেল কর্মকর্তারা। এ সময় ঈশ্বরদী রেল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন মিলনসহ নেতারা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন বলেন, ‘সরকারি কর্মসূচিতে আমাদের দাওয়াত না দিয়ে বিএনপির লোকজনদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
মারধরের কথা অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা বলেন ‘কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাটি সমঝোতা করা হয়েছে।’
ঈশ্বরদীর স্টেশন সুপার (এসএস) আবদুল করিম বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত না দেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁরা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। কিন্তু এ অনুষ্ঠানটি পাকশী বিভাগীয় রেলের। ফলে আমি দাওয়াত দেওয়ার কেউ না। তার পরও উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে আমি অনুষ্ঠান সম্পর্কে আগেই জানিয়েছিলাম।’
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) ও পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আসাদুল হক বলেন,‘ভুল বোঝাবুঝিতে ঘটনাটি ঘটেছে । তবে ভুল বুঝতে পেরে তাঁদের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে আমরা সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠান পালন করেছি।’

বাংলাদেশ সৃষ্টির পরই ভারতের দখল করা উচিত ছিল: বিজেপি নেতা

বাংলাদেশ সৃষ্টির পরই ভারতের দখল করা উচিত ছিল: বিজেপি নেতা



ভারতের আসাম রাজ্যের বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার এমএলএ শিলাদিত্য দেব বাংলাদেশকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
তিনি সোমবার স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টি করাই ছিল একটি বিরাট ভুল। বিগত দশকগুলোতে আসামে মুসলমানদের যে আগমন ঘটেছে তা এই ভুলের কারণেই হয়েছে।’
শিলাদিত্য আরও বলেন, ‘৭১ সালে যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভুল করেছিলেন। নতুন জন্ম নেয়া বাংলাদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে দখল করে নেয়নি কংগ্রেস সরকার। যদি তখন এটিকে ভারতের অংশ করে নেয়া হতো তাহলে ভুলের মাশুলটা আদায় হতো।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, এমন বক্তব্যের পর পত্রিকাটির পক্ষ থেকে শিলাদিত্যের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তখনও তিনি তার বক্তব্যে অটল থেকে বলেছেন, ‘রাজ্যের (আসাম) জনসংখ্যার চিত্র বদলে যাবার পেছনে মূলত প্রতিবেশি দেশটি থেকে মুসলিমদের আগমনই দায়ী।’


তথ্য সুত্রঃ https://www.jamuna.tv/news/28510

শিক্ষিকাকে ধর্ষণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

শিক্ষিকাকে ধর্ষণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা




মাগুরা : এক স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মাগুরার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী জেলার সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
ওই স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগ, একটি ব্যাংকে চাকরির জন্য ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলামের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। সেদিনের পরিচয়ের সূত্র ধরে রেজাউল ইসলাম সুমন নামে অপর এক ছাত্রলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস ও নানাভাবে ভয় দেখিয়ে প্রায়শই তাকে ধর্ষণ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও বিয়ের আশ্বাসের পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান ওই নেতা। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত না করে উল্টো বন্ধুদের দিয়ে একাধিকবার তাকে হত্যার হুমকি দেন রেজাউল। যে কারণে বাধ্য হয়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
স্কুলশিক্ষিকার দায়েরকৃত মামলাটির আইনজীবী ওমর ফারুক জানান, ওই স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগ দায়েরের পর মাগুরার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান ঘটনা তদন্তের জন্য সদর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সালাম আকতারকে দায়িত্ব দেন। এ ঘটনার পর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এবং তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আদালত থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো কাগজপত্র আসেনি। তবে এমন নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্য সুত্রঃ http://amar-desh24.com/bangla/index.php/details/crime,focus,violenceAgainstWomen,womennews/21885

সম্পদের ভাণ্ডার সর্বকনিষ্ঠ এমপি

সম্পদের ভাণ্ডার সর্বকনিষ্ঠ এমপি

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এমপি নাটোরের জুনাইদ আহম্মেদ পলক। তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কর্মজীবন শুরু করেন নাটোরের সিংড়া সদরের দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে। ২০১১ সালের শুরুতে মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে স্থানীয় দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি নেন। ২০০৮ সালে তার সম্পদ বলতে ছিল সর্বসাকুল্যে ১৫ শতক মাঠের জমি, ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা, নগদ ১০ হাজার টাকা, ১০ ভরি সোনা, ২৫ হাজার টাকা দামের একটি রেফ্রিজারেটর ও ১০ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন।

ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় এখন তিনি ভিশন বিল্ডার্স লিমিটেড কোম্পানির ৮০ ভাগ শেয়ারের মালিক। এখন তার সঞ্চয়পত্র আছে ২০ লাখ টাকার, ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের (ঢাকা-মেট্রো-গ-৩৩-০২৪৫) একটি অত্যাধুনিক প্রাইভেট কার। সোনা ১০৩ ভরি ও নগদ রয়েছে ১০ লাখ ও ব্যাংকে তিন লাখ ৮০ হাজার ৮৭৩ টাকা। একটি ডেস্কটপ ও একটি ল্যাপটপ, এসি ও ফ্রিজ। খাট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, সোফা, আলমারী ও ওয়্যারড্রবসহ সোনা এবং সব ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এই শিক্ষিকা উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে তিনি এগুলোর দাম জানেন না। আগে ১৫ শতক জমির মালিক হলেও এখন তার মালিকানায় রয়েছে ৭৬২ শতক জমি। এর মধ্যে সিংড়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩০০ শতক অকৃষি জমিও উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে এর দামও তিনি জানেন না!
আরিফা জেসমিনের স্বামী বর্তমান সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক। ২০০৮ সালে পলকের ব্যাংকে ছিল ২০ হাজার টাকা। নগদ ছিল ৩০ হাজার আর সঞ্চয়পত্র ছিল ১৮ হাজার টাকার। তার নিজের কোনো স্বর্ণ ছিল না। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল ৩০ হাজার টাকার একটি কম্পিউটার, ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল আর ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল এক বিঘা কৃষি জমি ও ১৮ শতক ভিটা জমি, দুইটি দোকানঘর আর একটি গুদাম। বার্ষিক আয়-ব্যয় উভয়ই ছিল এক লাখ ১৮ হাজার টাকা। চার খালাতো ভাই, দুলাভাই, চাচা ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দান ও ঋণ নিয়ে নির্বাচনী খরচ চালানো এমপি পলক পাঁচ বছর পরে বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ১১ হাজার ৫২ টাকা বলে তিনি ১০ম সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এখন তার ব্যাংকে রয়েছে চার লাখ ৬১ হাজার ৪০৪ টাকা, নগদ দুই লাখ, বন্ড ও সঞ্চয়পত্র আছে ছয় লাখ ৯৯ হাজার টাকার। সাড়ে তিন কোটি টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো অত্যাধুনিক পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৪২৬৯) এমপি হিসেবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কিনেছেন মাত্র ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকায়।
এখন তার রয়েছে ৪১ ভরি সোনা, দুইটি ডেস্কটপ, একটি ল্যাপটপ, এসি, ফ্রিজ। জমি কিনেছেন আরও সাত বিঘা ১১ শতক, উপহার পেয়েছেন ৪ শতক, দোকান দু’টি থেকে বেড়ে হয়েছে চারটি, সাথে দোতলা ভবন। স্ত্রীর মতোই তার সোনা, সব ইলেকট্রনিকস সামগ্রী উপহার পাওয়ায় তিনি এগুলোর মূল্য কত জানেন না। তবে শুধু দু’জনের উপহার পাওয়া সোনার বর্তমান বাজার মূল্য ৬১ লাখ টাকা। সব কিছু বাড়লেও এবার তার আসবাবপত্র কমেছে। ২০০৮ সালে ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র থাকলেও এবার সেটা কমে হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে প্রায় এক কোটি টাকার ১৪৪ ভরি সোনা, পাঁচটি কম্পিউটার, দু’টি এসি, দু’টি ফ্রিজ, তিনটি মোবাইল ও সব আসবাবপত্র উপহার পাওয়ায় এগুলোর মূল্য হলফনামায় লেখা হয়নি। এগুলো বাদেই এবার তিনি অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন এক কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৯ টাকার। অথচ ২০০৮ সালে আসবাবপত্র, কম্পিউটার মোবাইলসহ তার অস্থাবর সম্পদ ছিল তিন লাখ ৫৪ হাজার টাকার। আগে টেনশনমুক্ত জীবনযাপন করলেও এখন নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি শর্টগান ও একটি পিস্তল। এসব তথ্যই পাওয়া গেছে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া এমপি পলকের হলফনামা থেকে।
পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে সিংড়া দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে চাকরি নিলেও বছরের বেশির ভাগ সময় স্বামীর সাথে থাকেন ঢাকায়। তার পরিবর্তে মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা বেতনে ক্লাস নিয়ে দেন স্থানীয় চলনবিল কলেজের প্রভাষক গোলাম রব্বানী। একজন শিক্ষক বাইরে অবস্থান করে অন্যজনকে দিয়ে বছরের পর বছর ক্লাস নেওয়াতে পারেন কি না- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও সিংড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেছেন, বর্তমানে প্রভাষক আরিফা জেসমিন ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন।
এ ব্যাপারে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের আপন বড় ভাই জুবাইর আহমেদ নয়ন বলেছেন, হলফনামায় তার ছোট ভাই যে সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন তা বাস্তবের শত ভাগের এক ভাগও নয়। তিনি বলেন, একই পরিবারের মানুষ হয়েও আমি মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য আমার চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে পড়ুয়া মেধাবী মেয়ে ঋতি মৃত্তিকা নয়নকে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে না পারায় সে মারা গেছে।
স্ত্রী ছাড়াও মা, চাচা, শ্বশুর, শ্যালক ও তার ফাইভস্টার বাহিনীসহ অনুগত কর্মীদের নামে-বেনামে পলক শত শত বিঘা জমি কিনেছেন ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন। পলকের বড় ভাই জুবাইর আহমেদ নয়ন সম্প্রতি তার ভাইয়ের টেন্ডারবাজি, ৬৫০টি পুকুর দখল, চাকরি বাণিজ্য, কালো টাকা, হত্যা বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি কমিশন, খাসজমি বরাদ্দ বাণিজ্যসহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং দখলবাজির বিষয়ে নিজের ও নিজের মারা যাওয়া মেয়ে ঋতি মৃত্তিকা নয়নের ছবিসহ ‘খাই খাই রাজনীতি আর কত দিন?’ শিরোনামে নাটোরে ব্যাপকভাবে পোস্টারিংও করেছেন।
এসব বিষয়ে জানার জন্য এমপি পলকের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা ফোন রিসিভ করে বলেন, এমপি সাহেব নির্বাচনী কাজে বাইরে আছেন। তিনি বলেন, ১৪৪ ভরি সোনা বিভিন্ন সময়ে দলীয় অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে পাওয়া। আর খাট, টিভি ও ফ্রিজের বিষয়টি হলফনামায় ভুলবশত উপহার হিসেবে লেখা হয়েছে।


তথ্য সুত্রঃ http://www.bd-pratidin.com/national/2013/12/24/33953

পর্নোগ্রাফিচক্রের ২৪ সদস্য গ্রেফতার

পর্নোগ্রাফিচক্রের ২৪ সদস্য গ্রেফতার

     পর্নোগ্রাফিচক্রের ২৪ সদস্য গ্রেফতার


নারায়ণগঞ্জ :  নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের ২৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। পাইরেসি কাজে ব্যবহৃত ২৪টি মনিটর, ২৪টি সিপিইউ ও ১ হাজার ৭৯৬টি পাইরেটেড সিডি জব্দ করা হয়। রোববার সন্ধ্যা সাতটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের নগরের রেলওয়ে মার্কেট এবং নরসিংদীর মাধবদীর সোনার বাংলা মার্কেট ও স্কুল মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এ সময় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান, সংগীতশিল্পী শাফিন আহেম্মদ, চিত্র নায়িকা কেয়া, চিত্র নায়িকা শানু, সংগীতশিল্পী তামিজ ফারুক, সংগীতশিল্পী মুন, এলিজা পুতুল প্রমুখ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মো. ডালিম, মো. কাওছার, আরিফুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, ইব্রাহিম, নাহিদ হাসান, এরশাদ মিয়া, মো. সেলিম, সোহাগ মিয়া, কাজী জুয়েল, মো. শামীম, ইদ্রিস মিয়া, শামীম মিয়া, রাজু আহমেদ, কাজী দিপু, মামুন মিয়া, ইউসুফ মিয়া, কাজী বিল্লাল, শাকিল মিয়া, মনির হোসেন, রবিন দেওয়ান, মো. আকাশ, মাসুদ আলম ও মাসুদ রানা।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান জানান, পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অপতৎপরতায় বাংলাদেশের ফিল্ম ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অশ্লীলতা প্রচারের মাধ্যমে তাঁরা একদিকে যেমন যুবসমাজকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে তেমনি অপসংস্কৃতি প্রচারের মাধ্যমে আমাদের সুদীর্ঘ সময়ের লালিত সামাজিক মূল্যবোধকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তাঁদের অপরাধ কর্মকাণ্ডের কারণে যুবসমাজের মধ্যে বিকৃত রুচির প্রচার ও প্রসার লাভ করছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তাদের 'বুক উন্মক্ত' হয়ে থাকে। যেন তারা তরমুজের টুকরা প্রদর্শন করছে।

তাদের 'বুক উন্মক্ত' হয়ে থাকে। যেন তারা তরমুজের টুকরা প্রদর্শন করছে।


ভারতের কেরালায় এক শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে তরমুজ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। কেরালার সেই কলেজটির নাম ফারুক ট্রেনিং কলেজ। এর এক সহকারী অধ্যাপক কলেজের মুসলিম শিক্ষার্থীদের পোশাককে 'অনৈসলামিক' আখ্যা দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।
জওহর মুনাব্বীর নামের ওই শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীরা হিজাব ঠিকমতো করে না। এতে তাদের 'বুক উন্মক্ত' হয়ে থাকে। যেন তারা তরমুজের টুকরা প্রদর্শন করছে।
কলেজের ৮০ ভাগই নারী শিক্ষার্থী। এর বেশিরভাগই মুসলিম। সোমবার সেই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সত্যি সত্যি তরমুজের টুকরো নিয়ে মিছিল করেন কলেজের সামনে। পরে তাতে পুলিশ বাধা দেয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সকল নাস্তিকেরা কেন আওয়ামিলীগ পছন্দ করে ?

সকল নাস্তিকেরা কেন আওয়ামিলীগ পছন্দ করে ?

সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত (পড়তে হবে কুখ্যাত) বিশ জন বাঙালী নাস্তিক/সেক্যুলারের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে এই লেখাটিতে। সময়ের সাথে সাথে তালিকাটি আরো তথ্য সন্নিবেশিত হতে থাকবে ইন-শা আল্লাহ….
১। আহমেদ শরীফনতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি-
পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।
তবে স্বঘোষিত নাস্তিক হলেও সে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতো কম। তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।
২। হুমায়ুন আজাদবাংলা সাহিত্যের অশ্লীল কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা কবর দেয়া হয়েছে, সে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-
মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম
হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-
·         এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি। মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ
·         চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে ।কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা
·         বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে

৩। আরজ আলী মাতব্বরঅতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। কুরআন-হাদীসের ভূল ধরতে গিয়ে সে কেবল তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরতে পেরেছে। তবুও শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধীতা করার কারনে নাস্তিকরা তাকে নিজেদের ধর্মগুরু বানিয়ে নিয়েছে।

৪। কবি শামসুর রহমানশামসুর রহমানের একটি কুখ্যাত উক্তি-
 আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় (নাউজুবিল্লাহ)
এই একটা উক্তিই প্রমান করে শামসুর রহমান কি পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশে? নাস্তিকটা জবাব দিয়েছিল- আমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।
৫। তসলিমা নাসরিনউনাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। প্রকৃত নাম নাসরিন জাহান তসলিমা। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-
পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে
লেখক ইমদালুল হক মিলন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্র মুহম্মদ, সৈয়দ শামসুল হক, মিনার মাহমুদ সহ আরো অসংখ্য পুরুষ বৈধ/অবৈধভাবে তাকে ভোগ করেছে বলে তসলিমা তার আত্মজীবনিতে অভিযোগ করেছে!! এছাড়াও ফ্রান্সের এক নারীর সাথে সমকামী প্রেম করেছেন বলেও তসলিমা তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছে। সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা কাউকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন দেখি না। সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও তার যত ক্ষোভ, যত ঘৃণা সব কিছুই কেবল ইসলাম ধর্মের উপর। সনাতন ধর্ম কিংবা খ্রিস্ট ধর্ম অথবা ইহুদীদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা চোখে পড়ে না। ১৯৯৪ সালের আগষ্ট মাসে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। কুরআন সংশোধন করার ইচ্ছা প্রকাশ করাসহ ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে নানা রকম উস্কানিমূলক লেখালেখি করার কারনে তার শাস্তির দাবীতে ঢাকায় তিন লক্ষ মানুষের একটি বিশাল সমাবেশ হয় এবং সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। তসলিমা নাসরিন দুই মাস পালিয়ে থেকে অনেকটা চোরের মত গোপনে (অনেকের মতে বোরকা পরিধান করে) দেশ ত্যাগ করেন। অতঃপর কয়েক বছর সুইডেন, জার্মানী, ফ্রান্স আমেরিকা দেশে বসবাস করার পর বর্তমানে ভারতে থিতু হয়েছেন।

৬। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীউনাকে তো সবাই চেনেন। বেশি কিছু বলার নাই। আলোচিত কিছু উক্তি-
·         ধর্ম তামাক মদের মত একটি নেশা।
·         মোল্লাদের কোন কাজ নেই তাই তারা ঘন ঘন মসজিদ তৈরি করেছে।
·         টাকা ইনকামের জন্য আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ হজ্জের প্রবর্তন করেছিল।
·         সভা-সমাবেশের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করা দরকার।

৭। বাউল লালন শাহসুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার গাজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান। লালনের অনুসারিরা লালনের জন্মদিনে গাজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে। লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে না, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোন ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না।
৮। . জাফর ইকবালবাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর ইকবাল এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করেন। জাফর ইকবালের দাবী তিনি পাকিস্তানের দোষর রাজাকারদের ঘৃণা করেন, কিন্তু আশ্চর্য্য হলেও সত্য ৭১সালে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সমর্থন সামরিক সাহায্য দেয়া রাষ্ট্র আমেরিকার ব্যাপারে তার কোন চুলকানিই নেই। বরং জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন আমেরিকায় পড়াশোনা চাকরী করেছেন এবং এখন তিনি তার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমেরিকায় পাঠিয়েছেন পড়াশোনা করার জন্য!
৯। লেখক আনিসুল হকসেকুলার লেখক আনিসুল হক বামপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে তিনি কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করেন, বছরখানেক আগে তার লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠনের প্রতিবাদ আন্দোলনে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ভয় পেয়ে সেক্যুলারপন্থী আনিসুল হক নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি আরো কৌশলী হয়ে উঠেন, সরাসরি ইসলাম অবমাননা না করে এখন তিনি তার নাটক-সিনেমা পত্রিকা দ্বারা ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
১০। সুলতানা কামাল: জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে। কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।
১১। প্রবীর ঘোষবর্তমান সময়ের একজন খাটি নাস্তিক। কলকাতার নাস্তিকদের মধ্যে সে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সকল ধর্মের বিরোধী প্রবীর ঘোষ ধর্মমুক্ত একটি বিশ্ব চায়। তার অসংখ্য,ভক্ত-সমর্থক রয়েছে।

১২। কবির চৌধুরীচরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল-
তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে
এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে। সংবিধানে ‌’বিসমিল্লাহরাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো।

১৩। সৈয়দ শামসুল হকএটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। এর একটা কবিতা হল এরকম-
যখন দুস্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে
স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ
মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ
আরেকটা কবিতা এরকম-
শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ
দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা
আর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায়
১৪। মুনতাসির মামুনএই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-
·         সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী
মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য-
·         এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে

১৫। ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা): এই নাস্তিক হযরত মোহাম্মদ (সা) কে হযরত মহাউন্মাদ কিংবা মোহাম্মক (মহা+আহাম্মক) নামে ডাকতো (নাউজুবিল্লাহ) হাদীসকে চটি গ্রন্থ এবং কুরআনকে সে কৌতুকের বই বলে আখ্যায়িত করতো। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ, রাসূল (সা) বিভিন্ন সাহাবীদেরকে নিয়ে চটি গল্প লিখেধর্মকারীনামক ব্লগে প্রকাশ করতো। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে সেগুলোর নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ঠাট্টা হাসি-তামাশা করতো। তার এসব কার্যকলাপ তাকে এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের মর্যাদা দিয়েছে। তার বেশিরভাগ লেখাই প্রকাশযোগ্য নয়। তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে জন ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মুরতাদকে হত্যা করে জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দেয়। তার মৃত্যুর পর সরকার এবং শাহবাগের অন্যান্য নাস্তিকরা তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে!!

১৬। আসিফ মহিউদ্দিনবর্তমান সময়ের আরেক কুখ্যাত নাস্তিক। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও চরিত্রহীন লম্পট। ওর নাম লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই মদের বোতল হাতে মাতলামি করা অবস্থায় একটা ছবি খুজে পাবেন। ইসলাম অবমাননার দিক দিয়ে থাবা বাবার পরেই তার অবস্থান। তার ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপে খুশী হয়ে জার্মান সরকার তাকে ঐদেশের ভিসা উপহার দিয়েছে। বর্তমানে সে জার্মানী থেকে ফেসবুক ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখি করে থাকে। আসিফের দাবি আল্লাহ নিজেই নাস্তিক, অতএব নাস্তিক হওয়াটা দোষের কিছু না। আসিফ মহিউদ্দিন পবিত্র কুরআনকেআহাম্মোকোপিডিয়াবলে থাকে। সে কুরআনের আয়াতকে বিকৃত করেআউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির নাস্তিকানির নাজিমবলে এবং মহানবী (সা) এর কল্পিত ছবি তার ব্লগে প্রকাশ করে।

১৭। ফরহাদ মজহারএই লিস্টে উনার নাম দেখে অনেকেই চমকে গেছেন!! তাইনা?? আওয়ামীলীগ-বিরোধী অবস্থান নেয়ার কারনে অনেকে তার আসল পরিচয় জানে না। এক সময় সে ছিল একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক, বর্তমানে তার ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। সে এখন আর আগের মত নাস্তিকতা প্রচার করে বেড়ায় না, বরং ইসলামপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করে কলাম লেখে-বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেটা যতটা না আদর্শগত কারনে তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারনে। সে এখনো নাস্তিক আছে নাকি তওবা করে মুসলমান হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নব্বইয়ের দশকেএবাদত নামানামে একটি ইসলাম বিদ্বেষী কাব্যগ্রন্থ লিখে সে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। কয়েকটা লাইন উল্লেখ করছি:
বিবি খাদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি,
বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খাদিজার নাম নেবো।
নবীজীর নাম? উহু, তার নামও নেবোনা মালিক
শুধু খাদিজার নাম- দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব
তোমাকেও ভুলে যাবো, ভুলে যাবে নবীকে আমার।
তার আরেকটা কবিতা আরো মারাত্মক-
দুনিয়া রেজিস্ট্রি কর, তিলেক হিম্মত নাই
আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতালা হয়ে বসে আছ
মুখে খালি কহ শুনি দুনিয়ার তুমিই মালিক
অথচ মালিক অন্যে,অন্যে কহিতেছে তারা খোদা
মালিক জমিনের -প্রত্যেকেই তোমার শরিক
তোমার শরিক নাই এই কথা তবে কি বোগাস?
এদের দলিল যদি মিথ্যা হয় যাও আদালতে
উকিল ধরিয়া করো দুনিয়া রেজিস্ট্রি নিজ নামে

১৮। শফিক রেহমান: বাংলাদেশেভ্যালেন্টাইন ডেনামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিকমৌচাকে ঢিলনামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।
১৯। দাউদ হায়দার: বাংলাদেশে ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখি করে সর্বপ্রথম দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন কবি দাউদ হায়দার। ১৯৭৪ সালে দাউদ হায়দার বিভিন্ন ধর্মের নবী অবতারদের নিয়ে বিতর্কিত একটি কবিতা লিখেছিলেন এবং সেই কবিতা মসজিদের সামনে নিজ হাতে ঝুলিয়ে আসলে দেশব্যাপী প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়। জনরোষ থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য সরকার দেশ থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর কয়েক বছর ভারতে অবস্থান করার পর দাউদ হায়দারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় জার্মানী। তারা তাকে শেল্টার দেয় এবং তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। এরপর থেকে দাউদ জার্মানীতেই ঘাঁটি গেড়ে আছে।