পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের বিশেষ সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে শ্রমিক লীগকে দাওয়াত না দিয়ে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়ার অভিযোগে স্টেশন সুপার (এসএস) আবদুল করিমকে পিটিয়েছেন শ্রমিক লীগ নেতারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে রেলের বিশেষ সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠান চলাকালে পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ সবার সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আয়োজনে রেলের বিশেষ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা, র্যালি ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছিল। র্যালির শুরুতেই ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতারা এসে র্যালিতে দাঁড়ানো স্টেশন সুপার আবদুল করিমকে পাজাকোলে তুলে নিয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টারের কক্ষে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন তাঁরা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত ডিআরএম ও পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আসাদুল হকসহ বিভাগীয় রেলের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁকে উদ্ধার করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে আবারও র্যালি শুরু করা হয়। র্যালি শেষে স্টেশন সুপারের সঙ্গে শ্রমিক লীগের নেতাদের সমঝোতা করিয়ে দেন রেল কর্মকর্তারা। এ সময় ঈশ্বরদী রেল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন মিলনসহ নেতারা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন বলেন, ‘সরকারি কর্মসূচিতে আমাদের দাওয়াত না দিয়ে বিএনপির লোকজনদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
মারধরের কথা অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা বলেন ‘কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাটি সমঝোতা করা হয়েছে।’
ঈশ্বরদীর স্টেশন সুপার (এসএস) আবদুল করিম বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত না দেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁরা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। কিন্তু এ অনুষ্ঠানটি পাকশী বিভাগীয় রেলের। ফলে আমি দাওয়াত দেওয়ার কেউ না। তার পরও উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে আমি অনুষ্ঠান সম্পর্কে আগেই জানিয়েছিলাম।’
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) ও পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আসাদুল হক বলেন,‘ভুল বোঝাবুঝিতে ঘটনাটি ঘটেছে । তবে ভুল বুঝতে পেরে তাঁদের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে আমরা সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠান পালন করেছি।’