গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন প্রকৌশলী গ্লোরিয়া ট্রেভিসান। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া
২৭ তলা ভবনটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ভবনের ১২০টি ফ্ল্যাটে তখন ভয় আর আতঙ্কের সঙ্গে যুঝছে বাসিন্দারা। এমনই একটি ফ্ল্যাটে তখন মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন প্রকৌশলী গ্লোরিয়া ট্রেভিসান। শেষ মুহূর্তের আগে চাইছিলেন মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে। সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছিল গ্লোরিয়ার। ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তাঁর শেষ কথাটি ছিল, ‘মা, আমি মারা যাচ্ছি। স্বর্গ থেকে তোমার পাশে থাকব আমি।’
গ্লোরিয়া ইতালির নাগরিক। ক্যারিয়ারের জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যর লন্ডনে। থাকতেন গ্রেনফেল টাওয়ারে। গ্লোরিয়ার আইনজীবী মারিয়া ক্রিস্টিনা স্যান্ডরিন সিএনএনকে জানিয়েছেন তাঁর মক্কেলের হৃদয়বিদারক কাহিনি। তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর সময় ফোনে মাকে এই কথাগুলোই বলছিলেন গ্লোরিয়া।’
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত একটা ১টা ১৬ মিনিটে গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে। গত শতকের সত্তরের দশকে নির্মিত আবাসিক এই ভবন নটিংহিলের কাছে অবস্থিত। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডে ৩০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে লন্ডন পুলিশ। এ ছাড়া ৭০ জন বাসিন্দা এখনো নিখোঁজ আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা সবাই নিহত হয়েছেন।
এখন প্রতিদিনই জানা যাচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের হৃদয়বিদারক নানা কাহিনি। সর্বশেষ শোনা গেল ২৬ বছরের গ্লোরিয়া ট্রেভিসানের গল্প। ইতালিতে তাঁর পরিবারে ছিল অর্থের টানাটানি। সে জন্যই মাত্র তিন মাস আগে জীবিকার তাগিদে লন্ডনে এসেছিলেন গ্লোরিয়া। তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘নিজের পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে বোঝা হতে চাননি তিনি। তাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।’
এখন প্রতিদিনই জানা যাচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের হৃদয়বিদারক নানা কাহিনি। সর্বশেষ শোনা গেল ২৬ বছরের গ্লোরিয়া ট্রেভিসানের গল্প। ইতালিতে তাঁর পরিবারে ছিল অর্থের টানাটানি। সে জন্যই মাত্র তিন মাস আগে জীবিকার তাগিদে লন্ডনে এসেছিলেন গ্লোরিয়া। তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘নিজের পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে বোঝা হতে চাননি তিনি। তাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।’
অগ্নিকাণ্ডের দিন বাবা ম্যানুয়েলা ট্রেভিসান ও মা লরিস ট্রেভিসানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন গ্লোরিয়া। তাঁর বাবা সেই ফোন কলের কিছু অংশ রেকর্ডও করেছিলেন। এর মূল কারণ ছিল গ্লোরিয়ার ছোট ভাই। কারণ, ওই মুহূর্তে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর জন্যই বোনের শেষ কথাগুলো রেকর্ড করে রাখা হয়।
এখানেই শেষ নয়। গ্রেনফেল টাওয়ারে থাকতেন গ্লোরিয়ার প্রেমিক মার্কো গোত্তারদি। ওই দিনের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন তিনিও। ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দুজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। কাকতালীয়ভাবে মৃত্যুর আগে তিনিও কথা বলছিলেন নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।