৬ নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার ছাত্রলীগ নেতা আরিফের

৬ নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার ছাত্রলীগ নেতা আরিফের


                   ৬ নারীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার ছাত্রলীগ নেতা আরিফের



শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জে স্থানীয় ৬ নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা আদালতে ও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফ। বুধবার বিকাল ৫টায় আসামি আরিফ শরীয়তপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে অপরাধ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজল পাল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজল জানান, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আরিফ হোসেন হাওলাদার। তিনি ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র তিনি। আরিফ হোসেন হাওলাদার গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে স্থানীয় ৬ নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারন করেন। ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাদের থেকে অর্থ আদায় করেন।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে ওই ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফ। বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ হওয়ার পর গত ১১ নভেম্বর নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদারকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে নির্দেশ ক্রমে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও যুগ্ন আহবায়ক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।
এ ঘটনার এক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার দেড় মাস পর পুলিশ হেডকোয়াটারের ইনটেলিজেন্স উইংয়ের সহযোগিতায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে নৌপথে গোসাইরহাট যাওয়ার সময় শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) থান্দার খাইরুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে মঙ্গলবার বিকালে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বুধবার আরিফকে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম আরিফের জবানবন্দী গ্রহণ করেন।
আরিফ তার জবানবন্দীতে ৬ নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজল পাল।
কোট পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বলেন, আসামি আরিফ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে অপরাধ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। আদালত আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আসামি আরিফকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট