যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর নিজের ঘরে ঠাঁই হলো সাবজান বিবির পুলিশের অর্থায়নে তৈরি হয়েছে নতুন বাড়ি, অভিযুক্তদের আনা হয়েছে আইনের আওতায়

যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর নিজের ঘরে ঠাঁই হলো সাবজান বিবির  পুলিশের অর্থায়নে তৈরি হয়েছে নতুন বাড়ি, অভিযুক্তদের আনা হয়েছে আইনের আওতায়


যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর নিজের ঘরে ঠাঁই হলো সাবজান বিবির 
পুলিশের অর্থায়নে তৈরি হয়েছে নতুন বাড়ি, অভিযুক্তদের আনা হয়েছে আইনের আওতায়


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ বছরের পুরনো বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ বছরের পুরনো বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ বছরের পুরনো বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন।




ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন সময় বাচ্চা চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। পুলিশের তথ্য বলছে, জাহানারা এবং ফরিদাই এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা। তাদের গ্রেফতারও করা হয়, কিন্তু পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে এসে তারা আবারও অবস্থান নিয়েছে হাসপাতালে। গত ৩০ বছরের পুরনো এই বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন করেছে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল নিউজ 


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ বছরের পুরনো বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ বছরের পুরনো বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন



ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ বছরের পুরনো বাচ্চা চোর সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন 
করেছে নিউজ টোয়েন্টিফোরের টিম আন্ডারকভার। 
সেয়ার করুনঃ জন সার্থে।

কাজলা দিদি

কাজলা দিদি
                                                 কাজলা দিদি
           যতীন্দ্রমোহন বাগচী

                                
                                                    বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
                                                    মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?
                                                    পুকুর ধারে লেবুর তলে,
                                                    থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
                                                    ফুলের গন্ধে ঘুম আসে নাএকলা জেগে রই,
                                                    মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
                                                    সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;
                                                    দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
                                                    খাবার খেতে আসি যখন
                                                    দিদি বলে ডাকি তখন,
                                                   ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
                                                   আমি ডাকিতুমি কেন চুপটি করে থাকো?
                                                   বল্ মা দিদি কোথায় গেছেআসবে আবার কবে?
                                                   কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে!
                                                   দিদির মত ফাঁকি দিয়ে
                                                   আমিও যদি লুকাই গিয়ে
                                                   তুমি তখন একলা ঘরে কেমন ক'রে রবে?
                                                   আমিও নাই---দিদিও নাই---কেমন মজা হবে!
                                                   ভূঁই-চাঁপাতে ভরে গেছে শিউলী গাছের তল,
                                                   মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল |
                                                   ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে
                                                   বুলবুলিটা লুকিয়ে থাকে,
                                                   উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল,
                                                   দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ |
                                                   বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
                                                   এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
                                                   লেবুর তলে পুকুর পাড়ে
                                                   ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে,
                                                   ফুলের গন্ধে ঘুম আসে নাতাইতো জেগে রই,---
                                                   রাত্রি হোল মাগোআমার কাজলা দিদি কই?

বাংলাদেশের জন্য রাখা ২০ টন মরা পশুর মাংস জব্দ

বাংলাদেশের জন্য রাখা ২০ টন মরা পশুর মাংস জব্দ
পশ্চিমবঙ্গে টানা পুলিশি অভিযানে ব্যাপক পরিমাণ মরা পশুর মাংস উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। একের পর এক মরা মুরগি, মরা পশুর মাংসের বিক্রেতারা ধরা পড়ার পর উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো রাজ্য।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাংস ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এসব পচা মাংস বাংলাদেশ ও নেপালে পাচার হবে। কলকাতার অনেকেই এ কারবারের জড়িত।
জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল মরা পশুর মাংস পুলিশের নজরে আসে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোডাউন থেকে ২০ টন মরা পশুর মাংস বাজেয়াপ্ত করে ভারতীয় পুলিশ। এ কাজে জড়িত হাওড়া ও নদীয়া জেলা থেকে মোট ১৪ জন ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও প্রচুর পরিমাণে মরা পশুর মাংসের সন্ধান পায়।
এদিকে পশিচমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মরা মাংসের বিষয়ে ভীষণ রাগান্বিত। তিনি বলেছেন, এসবের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। সতর্কতামূলক প্রত্যেক জেলায় অতিরিক্ত পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে।
মাংস পাচারের ঘটনায় গয়েশপুর পৌরসভার প্রাক্তন সিপিআই এম কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়কে নদীয়ার কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করেছে বজবজ থানা পুলিশ।

'শারীরিক সম্পর্কের' বিনিময়ে ডিগ্রি-অর্থের আশ্বাস শিক্ষিকার!

'শারীরিক সম্পর্কের' বিনিময়ে ডিগ্রি-অর্থের আশ্বাস শিক্ষিকার!
কলেজের কর্মকর্তাদের যৌন সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে মিলবে অর্থ। সেই সঙ্গে পাওয়া যাবে অ্যাকাডেমিক সনদও। স্নাতক পড়ুয়া চার শিক্ষার্থীকে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর একটি কলেজের একজন শিক্ষিকা।
স্থানীয় সময় সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই শিক্ষিকার কথোপকথোনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে পুলিশকে জানায় রাজ্যের বিরুদ্ধনগর শহরের দেভাঙ্গা আর্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ।  


অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম নির্মলা দেবী। তিনি এক দশক ধরে ওই কলেজে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ফাঁস হওয়া ওই অডিও ক্লিপে কলেজ কর্মকর্তাদের শারীরিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের অর্থের-ডিগ্রির প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গেছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি চেপে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অডিও ক্লিপের জের ধরে শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত মাসে ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে কলেজ ও স্থানীয় একটি নারী সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা করে পুলিশ।
তামিলনাড়ু রাজ্যের মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী ডি জয়াকুমার সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের কখনোই বরদাস্ত করা হবে না এবং তার বিরুদ্ধে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দল ডিএমকে প্রধান স্টালিন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে বলেন, একজন শিক্ষক যিনি শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তিনি শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। তাই এর তদন্তভার গোয়েন্দাদের ওপর দেওয়া উচিত।

অবশেষে স্ত্রীকে প্রকাশ্যে আনলেন রুবেল

অবশেষে স্ত্রীকে প্রকাশ্যে আনলেন রুবেল
২০১৪ সালের শেষ দিকে মডেল অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির সঙ্গে সম্পর্কে জেরে আলোচনায় আসেন তারকা ক্রিকেটার ফার্স্ট বোলার রুবেল হোসেন। সে সময় বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালত কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় রুবেল-হ্যাপি গল্পের সমাপ্তি ঘটে। সেই রুবেল বিয়ে করেছেন অনেক আগেই। কিন্তু এতদিন পর তিনি স্ত্রীকে প্রকাশ্যে আনলেন।  


আজ শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা দুটো ছবি আপলোড করছেন রুবেল। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী।’জানা গেছে, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন রুবেল হোসেন। তার স্ত্রীর নাম ইসরাত জাহান দোলা। কিন্তু বিয়ে সম্পর্কিত বিষয়টি সবসময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন রুবেল। অবশেষে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন।

রুবেল হোসেন আপাতত ক্রিকেটের বাইরে আছেন। শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করে ঘরোয়া লিগে কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ এবং নিজ জেলা বাগেরহাটেই অবস্থান করছেন।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন পেসার রুবেল হোসেন। তিনি এখন পর্যন্ত ২৫টি টেস্ট, ৮৫টি ওয়ানডে ও ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

৮৯ শতাংশ বাস চালকই মাদকাসক্ত |

৮৯ শতাংশ বাস চালকই মাদকাসক্ত |
রাজধানীর অধিকাংশ বাসচালকই মাদকের সাথে জড়িত
যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে ভয়াবহ এমন চিত্র 
বেসরকারি সংস্থার জরিপ বলছে- ৮৯ শতাংশ বাস চালকই মাদকাসক্ত

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তানকে খুন, আটক বাবা

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তানকে খুন, আটক বাবা
রাজধানীর বাড্ডায় ছেলে আউসারকে হত্যার অভিযোগে বাবা জাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, জাহিদের সাথে প্রতিবেশি হেলাল ও জলিলের শত্রুতা ছিলো। তাদেরকে শায়েস্তা করতে ১৭ এপ্রিল রাতে ১২ বছরের সন্তান আউসারকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যায় বাবা জাহিদ।
সেখানে মজিদের সহায়তায় আউসারকে হত্যা করা হয়। পরে হেলাল, জলিলসহ কয়েকজনকে আসিম করে হত্যা মামলা দায়ের করেন জাহিদ। পুলিশ মজিদকে আটক করলে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। এরপর আউসারের বাবা জাহিদকে গ্রেফতার করা হয় সন্তান হত্যার দায়ে। জাহিদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নতুন করে আরেকটি মামলা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মশাল মিসিলের নাম শুনেছেন এমনকি দেখেছেনও, কিন্তু কোনদিনও কি মশারী মিসিলের নাম শুনেছেন কিংবা দেখেছেন ?

মশাল মিসিলের নাম শুনেছেন এমনকি দেখেছেনও, কিন্তু কোনদিনও কি মশারী মিসিলের নাম শুনেছেন কিংবা দেখেছেন ?
মশাল মিসিলের নাম শুনেছেন এমনকি দেখেছেনও, কিন্তু কোনদিনও কি মশারী মিসিলের নাম শুনেছেন কিংবা দেখেছেন ? 

জি হ্যাঁ অবিশ্বাস্য এই কাজটিই করেছেন সিলেটবাসী । 

'রাতে ঘুমাতে পারিনা, মশার জ্বালায় বাচিনা।অ্যাকশান অ্যাকশান, মশার বিরুদ্ধে অ্যাকশান / মশামুক্ত সিলেট চাই, হইলে মশা মাইরা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে' । 

এসব স্লোগান সহকারে ৩/৪ টি মশারী টানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সকাল ১১ টায় নগরবাসী মশারী মিসিল বের করে । 

চলন্ত প্লেনে উড়ন্ত পাখি! দেখুন ভিডিও

চলন্ত প্লেনে উড়ন্ত পাখি! দেখুন ভিডিও
চলন্ত প্লেনে উড়ন্ত পাখি! দেখুন ভিডিও

ব্যাংকক থেকে দোহাগামী একটি প্লেনের ভেতর ঢুকে পড়লো একটি ছোট্ট পাখি।
ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, প্লেনটি যখন চলছিল তখন কোথা থেকে যেন লুকিয়ে থাকা একটি পাখি বের হয়ে আসে। স্বাভাবিকভাবেই এসময় যাত্রীরা চমকে ওঠেন। কিন্তু নতুন এই আগন্তুককে কে খুব সহজেই মেনে নেন প্লেনের যাত্রীরা।

এসময়ত জেক বাকিংহাম নামের একজন ২৯ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক পাখিটির গতিপথ ভিডিও করেন। কাতার ফ্লাইটের ব্যাংকক থেকে দোহাগামী প্লেনে এটি ঘটে।

প্লেনটি যখব ৩৯ হাজার ফিট উপরে ছিল তখনই এই পাখিটিকে প্লেনের ভেতর উড়তে দেখা যায়।

এর আগে ডেলটা এয়ার লাইন্সের একটি বিমানকে জরুরী অবতরণ করতে হয়েছিল শুধুমাত্র একটি পাখি বিমানের ভেতর পাওয়া গিয়েছিল বলে।



ভারতীয় সিরিয়ালের কারণে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে: মমতা

ভারতীয় সিরিয়ালের কারণে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে: মমতা


ভারতীয় সিনেমা এবং সিরিয়ালের কারণে সামাজিক সমস্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী বলেন, ‘আমাদের সিনেমা ও সিরিয়ালে আজকাল আমরা সমাজের খারাপ দিকটা দেখিয়ে দেই। অথচ আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকাল ভালো জিনিস লোকে খুব কম গ্রহণ করে। খারাপ জিনিসটা অনেক তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে। তাই চেষ্টা করতে হবে খারাপ জিনিসটা না দেখানোর।’ গতকাল শুক্রবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫ হাজার কেবল অপারেটর ও ৩০টির মতো এমএসওদের নিয়ে এক বৈঠকে মমতা এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে টলিউডের একঝাঁক তারকা, পরিচালক ও প্রযোজক উপস্থিত ছিলেন। বাংলা সিনেমা ও সিরিয়াল জগতের সঙ্গে যুক্ত প্রযোজক ও পরিচালকদের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক গল্প করুন বেশি বেশি করে। এক ঘরে তিন-তিনটে বউ দেখানোর দরকারটা কি?’ সিরিয়ালের গল্প নিয়ে ঠাট্টার ছলে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা ছেলের বাবা নেই, বাবার পরিচয় নেই। একজনের ঘরে তিন-চারটে বউ, তিন-চারটে কুটুন্তি (কুমন্ত্রণাদাত্রী)। একজন আরেকজনকে বিষ খাইয়ে দিচ্ছে। শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যে রোজকার ঝামেলা। যত খারাপ খারাপ জিনিস যারা জানে না তাদেরও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ালের মধ্যমে। এর ফলে সমাজে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সামজিক অবক্ষয় ঘটছে।’ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, এখন ইউটিউবের মাধ্যমে যা দেখানো হচ্ছে, তা আগেকার লোক দেখলে তো আঁতকে উঠত। সবকিছু সহ্য হয়ে গেছে তাই যা রক্ষে।

সিগারেট-জর্দ্দাখাওয়ার শরয়ী বিধান:

সিগারেট-জর্দ্দাখাওয়ার শরয়ী বিধান:

সিগারেট-জর্দ্দাখাওয়ার শরয়ী বিধান:



---------------------------------
কোরআন হাদীসের আলোকে সিগারেট জরদা খাওয়া হারাম।
প্রমাণ হচ্ছে:
(১) সিগারেটের গায়ে লেখা থাকে ধুমপান মৃত্যু ঘটায়": আল্লাহর বাণী-
ﻭﻻ ﺗﻠﻘﻮﺍ ﺑﺎﻳﺪﻳﻜﻢ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺘﻬﻠﻜﺔ
"তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো
না।" [বাকারা-১৯৫]
সবাই জানে কীভাবে সিগারেট
একজন মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
(২) সিগারেট-জর্দ্দা নেশাজাতীয় জিনিস : নবী (সা)
বলেছেন- " প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার)
আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম।" [মুসলিম-২০০৩]
(৩) কেউ একসাথে ১০ টি সিগারেট খেলে তার
নেশা হতে বাধ্য : রাসূল (সা) বলেছেন- "যা অধিক
সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও
হারাম।" [তিরমিযি-১৮৬৫, আবু দাঊদ-৩৬৮১]
(৪) সিগারেট-
জর্দ্দাঅপবিত্র জিনিস : আল্লাহ বলেন-
ﻭﻳﺤﻞ ﻟﻬﻢ ﺍﻟﻄﻴﺒﺎﺕ ﻭﻳﺤﺮﻡ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺨﺒﺎﺋﺚ
তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু হারাম করা হয়েছে।" [আরাফ-১৫৭]
(৫) সিগারেট জর্দ্দায়
কোন ফায়দা নেই, এটা অপব্যায় : আল্লাহ বলেন-
ﺃﻥ ﺍﻟﻤﺒﺬﺭﻳﻦ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﺇﺧﻮﺍﻥ ﺍﻟﺸﻴﺎﻃﻴﻦ
"নিশ্চয়ই অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই।" [সূরা ইসরা-২৭]
(৬) সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষ চরম কষ্ট পায় : রাসূল
(সা) বলেন- "যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস রাখে,
সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না
দেয়।" [বুখারী]
(৭) সিগারেট পুষ্টিকরও নয়, ক্ষুধা
নিবারণ মূলকও নয় : জাহান্নামীদের খাবারের
প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন- "এটা তাদের পুষ্টিও
যোগাবে না ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।" [গাশিয়াহ-৭]
আলিমদের মত : সিগারেট-জর্দ্দা খাওয়াকে শাইখ
মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উছায়মীন (রাহ), শাইখ আবদুল্লাহ
বিন বায (রাহ), আল্লামা মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম অসংখ্য
উলামায়ে কেরাম হারাম বলেছেন।
শেষ কথা : রাসূল (সা) বলেছেন- "আমার কিছু উম্মত
মদ পান করবে, কিন্তু নাম দিবে ভিন্ন।" [ইবনে
মাজাহ-৪০২০] কী বুঝলেন ভাই?
[বিঃদ্রঃ সিগারেট-জর্দ্দা
দুটোতেই তামাক পাতা থাকে। এগুলোকে আলাদা
করে দেখার কোন অবকাশ নেই।]
আল্লাহ আমাদেরকে সুস্পষ্ট হারাম ও সন্দেহযুক্ত
হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। আমীন।
পোস্টটি শেয়ার করে ছওয়াব লাভ করুন।
----------------------
----------------------
সিগারেট কি হারাম?
ধূমপান বর্তমানে প্রচুর সমস্যা ও ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সাথে ধূমপানের সমস্যাগুলো অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ধূমপান হারাম না হালাল সেটা ব্যাখ্যা করার আগে একটা ব্যাপার বলে নেয়া জরুরি, আল্লাহ পৃথিবীর সকল কিছুকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। ভালো বা হালাল এবং খারাপ বা হারাম। এখানে তৃতীয় কোন প্রকার নেই। আল্লাহ বলেনঃ
• তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ (সূরা আরাফ :১৫৭)
সুতরাং ধূমপান হয় হালাল হবে নতুবা হারাম হবে। অন্য আর যে যা বলে তা গ্রহনযোগ্য হবে না।
এবার আসুন ধূমপান এর ব্যাপারে বর্তমানে বিজ্ঞানী এবং ডাক্তাররা একমত যে স্বাস্থ্যের জন্য ধুপমান মারাত্মক ক্ষতিকর। ফুসফুসের ক্যান্সারসহ আরো মারাত্মক রোগের মূল কারন ধূমপান। ধূমপায়ী মায়েদের সন্তান বিকলাঙ্গ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। স্কুল কলেজে ধূমপান এর অপকারিতা নিয়ে অনেক রচনা অনেকেই লিখেছেন। আর এটা তো জানাই যে ধূমপান মৃত্যুর একটা বড় কারন। CDC (Center for Disease Control) এর হিসাবে প্রতি বছর বার্ধক্যজনিত কারন, দূর্ঘটনা, HIV তে যত মানুষ মারা যায় তার মোট সংখ্যার চেয়ে শুধুমাত্র ধূমপানে বেশি মানুষ মারা যায়। লেখার শেষে লিঙ্ক দেয়া আছে, আরো বিস্তারিত আছে সেই ব্যাপারে। American Cancer Society এর হিসাবে ২০১৩ সালেই ২২৮১৯০ জন ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে তামাকের কারনে। আর ১৫৯৪৮০ জন মারা গেছেন একই কারনে। সুতরাং ধূমপান যে কতটা ভয়াবহ তা বুঝতে পারার কথা। খুব স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় ধূমপান হচ্ছে বিষপান, আত্মহত্যার একটা দীর্ঘ উপায়। আর আল্লাহ বলেছেন,
• তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। (কোরান নিসা :২৯)।
এছাড়াও নবী মুহাম্মদ(সা) বলেছেন,
# এখানে (ইসলামে ) এমন কিছুই নেই যা খারাপ বা খারাপ করতে পারে । (Arabic "laa darar wa laa diraar")
তিনি আরো বলেন, “তোমার শরীরের তোমার উপর অধিকার আছে।” একটু আগেই দেখিয়েছি কিভাবে ধূমপান মানুষকে শেষ করে দেয়। ধূমপান করা মানে হচ্ছে শরীরের উপর অত্যাচার করা। সুতরাং ধূমপানের মধ্য দিয়ে আমরা শরীরের অধিকার নষ্ট করছি, বিচারের দিনে এর হিসাব আমাদের দিতে হবে।
আর যেখানে সেখানে ধূমপান যে অধূমপায়ীদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে তা না বললেই চলে। সিগারেটের বাজে গন্ধ অনেকের সহ্য হয় না আবার অনেকের অ্যাজমা থাকলে তাদেরও সমস্যা হয়। আর সিগারেটের বাজে গন্ধ ফেরেশতাদেরও সমস্যা করে। আর এই ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন,
• যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব :৫৮)।
আর CDC এর হিসেবে প্রতি বছর গড়ে ৪৯৪০০ অধূমপায়ী মারা যায় ধুমপায়ীদের ধোঁয়ার কারনে আক্রান্ত হয়ে। এই মানুষগুলোকে আসলে হত্যা করে ধুমপায়ীরা বিনা কারনে। আর বিনা কারনে কাউকে হত্যার ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন-
• যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। (সূরা মায়িদা :৩২)
যে জিনিস এতো সমস্যার সৃষ্টি করে তা না বললেও চলে। সুতরাং এই পথে অর্থ ব্যায় অপব্যায় হিসেবেই গন্য হবে। আর এটা তো জানাই যে
• নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনী ইসরাইল:২৭)
# আর মুহাম্মদ(সা) বলছেন, “শেষ বিচারের দিন একজন মানুষকেও অগ্রসর হতে দেয়া হবে না যতক্ষন না সে হিসাব দেবে সে তার অর্জিত অর্থ কিভাবে খরচ করেছে”।
# হযরত নুমান ইবনে বাশীর (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হালাল বা বৈধ সুস্পষ্ট এবং হারাম বা অবৈধও স্পষ্ট, আর এ দু’এর মধ্যবর্তী বিষয়গুলো হলো সন্দেহজনক। আর বেশীরভাগ লোকই সেগুলো (সম্পর্কে সঠিক পরিচয়) জানে না। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সন্দেহজনক জিনিসিগুলোকে পরিহার করলো সে তার দ্বীন ও মান-সম্মানকে পবিত্র রাখলো। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক জিনিসে জড়িয়ে পড়লো সে হারামের মধ্যে পড়ে গেল। (মুত্তাফিক আলাইহি)
উপরের আলোচনা থেকে আশা করি বুঝে যাবার কথা সিগারেট হারাম নাকি হালাল।
অনেকেই আছে নিজেদের সুবিধায় বলে যে সিগারেট মাকরুহ কিন্তু আগেই বলে দিয়েছি হয় হালাল না হয় হারাম। মাঝামাঝি কিছু নাই। হালালের বিভিন্ন শ্রেণীই হচ্ছে মুস্তাহাব, মুবাহ , মাকরূহ । তাই যারা ধূমপান করে তাদের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান ছেড়ে দেয়া। কাজটা অনেক কঠিন কিন্তু একেবারেই অসম্ভব না। । আল্লাহ আমাদের সকল হারাম থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক ।

প্রতিবেদকঃ 
খন্দকার সাইদুল আলম